বামেদের ব্রিগেড দেখে খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দাবি করলেন, গত বছর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বামেদের ব্রিগেডে যত জনসমাগম হয়েছিল, তার ২০ শতাংশও ভিড় হয়নি এবার। সেই পরিস্থিতিতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা কত শতাংশ ভোট পাবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দে ℱপড়ে গেলেন তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান। সেইসঙ্গে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের ভা♍ষণের সময় মঞ্চের নীচে শতরূপ ঘোষদের মতো যুব নেতাদের ‘হাসতে দেখায়’ হতাশাপ্রকাশও করলেন।
‘পর্যবেক্ষক হিসেবে’ বামেদের ব্রিগেড পর্যালোচনা দেবাংশুর
আর দেবাংশুর সেই যাবতীয় ‘হতাশা’ ঝরে পড়েছে রবিবার বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ শেষ হওয়ার পরে। তিনি বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হওয়ার ঠিক আগে সিপিএম আয়োজিত ব্রিগেডে যা ভিড় হয়েছিল, এমনকী লোকসভা নির্বাচনের আগে সিপিএমের যুব সংগঠনের ডাকে সংগঠিত൩ ব্রিগেডে যা লোক দেখেছিলাম, এবার তার ২০ শতাংশ ভিড় হয়নি। এটুকু কথা একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে বললাম। তৃণমূলের কোনও কর্মী হিসেবে নয়।’
সিপিএম যেন রাজনৈতিক ম্যাপ থেকে মুছে না যায়, বললেন দেবাংশু
আর সেখান থেকেই একরাশ ‘উদ্বেগ’ নিয়ে দেবাংশু বলেন, ‘আমার চিন্তাটা অন্য জায়গা। অত ভিড় আনার পরও বামফ্রন্ট বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৫.৫ဣ০ শতাংশ ও লোকসভা নির্বাচনে ৬.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবারের ভিড় দেখার পর আমার চিন্তা, আর দু'শতাংশ ভোট পাবে তো তারা? আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনওই চাই না যে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট বাংলার রাজনীতির ম্যাপ থেকে পুরোপুরি মুছে যাক। কিন্তু তাদের নেতাদের অহংকার, শারীরিক ভাষায় অত্যধিক ঔদ্ধত্য এবং পূর্বের সমস্ত ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার বদলে আজও সেগুলিকে সঠিক প্রমাণ করে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টাই এই রাজনৈতিক দলটার সর্বনাশের মূলে বিরাজমান।’
দেবাংশুর সেই ‘উদ্বেগের’ সুরটা ‘হতাশায়’ পরিণত হয় একটি ঘটনায়। তিনি বলেন, ‘আরও একটা দৃশ্য আমার অদ্ভুত লাগল! মঞ্চে যখন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ব🐽ক্তৃতা দিচ্ছেন, তখন তাদেরই দলের কিছু যুব নেতৃত্ব নীচে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা করছেন (যে তালিকায় শতরূপ ঘোষরা আছেন বলে দাবি তৃণমূলের)। দলের নতুন প্রজন্ম যদি নেতৃত্বের বার্তার প্রতি আগ্রহী না হয়, তাহলে কীভাবে তাঁরা ভাবছেন যে সাধারণ জনগণ আগ্রহী হবেন?’
‘অবশিষ্টটুকু বিজেপিতে বিক্রির নিয়মরক্ষার বিজ্ঞাপন’
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আবারও বলছি, এই পোসไ্ট তৃণমূল কংগ্রেস🃏ের কোনও কর্মী হিসেবে নয়। আমি কী বলতে চাইছি, আমার বিশ্বাস সেটা বাম নেতারাও বুঝছেন। তাঁরা স্টেজের উপর থেকে গোটা ভিড়টা দেখেছেন.. এবারের ভিড়ে সেই উৎসাহটা ছিল? বাম ব্রিগেডের পরিচিত সেই উদ্দীপনা লক্ষ্য করেছেন? স্টেজের উপরের নেতা এবং স্টেজের নীচের নেতা কিংবা মাঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কর্মীগণ, প্রত্যেকের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে যেন একটা দায়সারা ভাব; যেন অবশিষ্টটুকু বিজেপিতে বিক্রি করে দিয়ে আসার পর একটা নিয়মরক্ষার বিজ্ঞাপন!’