আইপিএল মানেই চার-ছয়ের বন্যা। ভুরি ভুরি রান। ক্রিকেট সমর্থকরা আইপিএলে চার, ছক্কার বৃষ্টি দেখতেই পছন্দ করেন। কিন্তু কখনও কখনও এই চার-ছয়ও ক্ষতির কারণ হয়। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পঞ্জাব কিংস এবং চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে খেলা🐲 ম্♓যাচেও এ রকমই কিছু ঘটেছিল। চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটসম্যান রাচিন রবীন্দ্রের একটি শটে এক চিয়ারলিডার জখম হন। সেই সঙ্গে তিনি ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন।
মঙ্গলবার (৮ই এপ্রিল) পঞ্জাব কিংসের হোম গ্রাউন্ড মুল্🍒লানপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচের সময় এই দৃশ্যটি দেখা গিয়েছে। পঞ্জাবের দেওয়া ২২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মন্থর গতিতে শুরু করেন রাচিন রবীন্দ্র এবং ডেভন কনওয়ে। তাঁরা দলের জন্য প্রয়োজনীয় গতিতে🍰 ব্যাট করতে ব্যর্থ হন। কিন্তু এর মাঝেও ঘটে যায় অঘটন। ছয় নয়, রাচিন রবীন্দ্র একটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন, তাতেই আহত হন চিয়ারলিডার।
ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন পঞ্জাব কিংসের চিয়ারলিডার
পাওয়ারপ্লে-র শেষ ওভারে এই ঘটনাটি ঘটে। মার্কো জানসেনের𝔉 বলে ম🔯িড উইকেটের দিকে একটি জোরালো শট মারেন রাচিন রবীন্দ্র। বলটি বাউন্ডারির সীমানা অতিক্রম করার পরেও থামেনি। বরং বাউন্ডারি লাইনের কাছে বসে থাকা পঞ্জাব কিংসের একজন চিয়ারলিডারের হাতে এসে সজোরে লাগে। সেই চিয়ারলিডার সঙ্গে সঙ্গে সজোরে চিৎকার করে ওঠেন এবং তাঁর সঙ্গে যে অন্য চিয়ারলিডারও ছিলেন, তাঁরা ভয় পেয়ে যান। পঞ্জাবের সেই চিয়ারলিডারের চোখে-মুখে যন্ত্রণার ছাপ ছিল পরিষ্কার। তাঁকে বারবার ব্যথার জায়গায় হাত বোলাতে দেখা গিয়েছে।
ঘটনার পর রাচিন অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি ক্রিজে
ঘটনাটি কাকতালীয়ই, তবে এই ঘটনার পর, রাচিন বেশিক্ষণ আর ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। ঘটনার পর আর মাত্র ৩ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সপ্তম ওভারে রাচিন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে꧃ যান। তিনি ২৩ বলে ৩৭ রান করেন, যার মধ্যে ৬টি চার 🦄ছিল। দলের চিয়ারলিডারের আঘাতের প্রতিশোধ নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং চেন্নাইয়ের এই ওপেনারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
আরও পড়ুন: ব্যাটে যতই মরচে ধরুক উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে IPL-এ ইতিহাস ধো☂নির, ৪৩-এও করলেন নতুন রেকর্ড
জয়ে ফিরল পঞ্জাব, হেরেই চলেছে সিএসকে
এদিন টস জিতে পঞ্জাব কিংস প্রথমে ব্যাট করতে নামলে শুরু꧅তেই তারা বড় ধাক্কা খায়। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই তারা ৩ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে। ৫ উইকেট পড়ে যায় ১০০ রান স্পর্💙শ করার অনেক আগে। তবে ওপেন করতে নেমে একদিক আগলে প্রিয়াংশ আর্য একেবারে ঝড় তোলেন। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেন, যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ১০৩ করে আউট হন প্রিয়াংশ। হাঁকান ৯টি ছক্কা এবং ৭টি চার।