মণিপুরের ইম্ফলে𒁏 বসেছিল সেই মহাকাব্যিক বিয়ের আসর। উত্তর-পূর্ব ভারতের কন্য়া লিন লাইশ✱রামকে রাজকীয় কায়দায় বিয়ে করে চমকে দিয়েছিলেন অভিনেতা রণদীপ হুদা। মহাভারতের তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন যেভাবে মণিপুরের রাজকন্যাকে বিয়ে করেছিলেন, সেই থিমেই সাজানো হয়েছিল বিয়ের আসর। বিয়ের পর এক বছরেরও বেশি সময় একসঙ্গে বেশ সুখেই কাটিয়ে ফেলেছেন রণদীপ ও লিন। তবে এই বিয়েতে নাকি আপত্তি ছিল অভিনেতার ‘জাঠ’ পরিবারের। সম্প্রতি এবিষয়েই প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন রণদীপ হুদা।
নিজের সম্প্রদায়ের বাইরে উত্তর-পূর্ব ভারতের মেয়েকে বিয়ে করার বিষয়টি নাকি ♑শুরুতে মেনে নিতে পারেননি রণদীপ হুদার 'জাঠ' বাবা-মা ও তাঁর পরিবার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অকপটে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিনেতা। প্রসঙ্গত, অনেকেই শুনে থাকবেন ‘জাঠ’রা জাতপাত ও সম্প্রদাꦿয় নিয়ে একটু বেশিই ‘কট্টর’ হয়ে থাকেন।
রণদীপ বলেন, ‘আমাদের বিয়েতে জটিলতা ছিল। অন্যদের মতো, আমার বাবা-মাও চেয়েছিলেন যে আমি জাঠ স🐈ম্প্রদায়ভুক্ত কোনও মেয়েকেই বিয়ে করি। জাটদের মধ্যে এটা বেশ প্রচলিত। আসলে, আমিই আমার পরিবারের প্রথম ব্যক্তি যে কিনা নিজের জাতের বাইরে গিয়ে বিয়ে করেছে। তাই সক🐓লেরই এতে সমস্যা ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে এটা কেটে গেছে।’
এদিকে এই একই সাক্ষাৎকারে, রণদীপ হুদা বলেন, কেন তাঁর প্রাথমিকভাবে আদপে বিয়ে করারই কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তাঁর কথায় ‘স্কুলে থাকাকালীন আমি খুব দুঃখী ছিলাম। স্কুল লাইফ আমার ভালো লাগত না। আমার মনে হত আমি আর এমন কাউকে এই পৃথিবীতে আনতে চাইব না যে আমার মতো স্কুলে যাবে। তবে এসবের মাঝেই আমার রাস্তায় এমন একজন এসে পড়ল। তবে ও আশায় আমি খুব খুশি। আমার বিয♓়ে করতে একটꦕু দেরি হয়ে গেছে, আর এর কারণ হিসাবে আমি একটু মজা করেই বলি যে আমার কোনও সরকারি চাকরি হয়নি।’
প্রসঙ্গত ২০২৩-এর ২৯ নভেম্বর ইম্ফলে মণীপুরী রীতিতে বিয়ে করেন রণদীপ হুদা ও লিন লাইশরাম। এদিকে কাজের 🍌ক্ষেত্রে সম্প্রতি সানি দেওলের সঙ্গে জুটি বেঁধে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রণদীপ হুদার ছবি ‘জাঠ’। ছবিটি ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে বেশ ঝড় তুলেছে। মুক্তির কয়েকদিনের মধ্যেই ৫০ কোটি আয় করে ফেলেছে ছ😼বিটি।