হাসিনা পরবর্তী, মহম্মদ ইউনুসের প্রশাসন পরিচালিত বাংলাদেশে এবার সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিলেন খালেদা জিয়ার দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী। নানা কথায়,ভাষণে বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি-তে অন্তত হিন্দু, মুসলিমের কোনও বিভেদ নেই। তাই তাঁরা 'সংখ্যালঘু' শব্দেও বিশ্বাসী নন।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম অনুসারে - এই দাবি যিনি করেছেন, তিনি শামা ওবায়েদ ইসলাম রিঙ্কু। পদাধিকারী হিসাবে তিনি হলেন বিএনপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
গতকাল (শনিবার - ২৬ এপ্রিল, ২০২৫) বিকেলে শামা তাঁর নিজস্ব নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে গিয়েছিলেন। উপলক্ষ ছিল - স্থানীয় হাজরাতলা সর্বজনীন মহাশ্মশানের বাৎসরিক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শামা।
সেই মঞ্চ থেকেই শামা বলেন, 'যে যেই ধর্ম-বর্ণের মানুষ হই না কেন, আমরা সকলেই সমান। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে, আমরা মানুষ। সংখ্যালঘু বলতে কোনও শব্দ আমাদের বিএনপি-তে নেই।'
এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশে শামা বলেন, 'আপনাদের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। এটা মাটির সম্পর্ক।... আপনারা মা-বোনেরা যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সকলের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। এই সম্পর্ক আল্লাহ প্রদত্ত। সেই সম্পর্ক কেউ মুছে ফেলতে কেউ পারবে না। সুতরাং আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব।'
এদিনের এই সভামঞ্চ থেকে হাসিনা জমানার তুলোধনাও করতেও শোনা যায় শামাকে। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে মেগা প্রজেক্টের নামে আসলে মেগা দুর্নীতি হয়েছে। আমজনতা, খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, যুবর পকেট ফাঁকা করে লাভবান হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর কাছের মানুষেরা।
শামার দাবি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা (সংস্কার প্রস্তাব) দিয়েছেন। সেই দফার আদলে আগামী দিনে বাংলাদেশে উন্নয়ন হবে বলেও মনে করেন এই বিএনপি নেত্রী।
শনিবারের এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হাজরাতলা সার্বজনীন মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনয় মজুমদার। এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন মহাশ্মশান কমিটির সম্পাদক অরুণ মণ্ডল।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন - জেলা বিএনপি-র যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলু, উপজেলা বিএনপি-র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষক নেতা জাহিদ হোসেন, উপজেলা বিএনপি-র সহসভাপতি শাহিন মাতুব্বর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আশাদ মাতুব্বর প্রমুখ।