মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে চলা হিংসা নিয়ে এবার মুখ খুলবেন বিজেপি সাংসদ তথা ওয়াকফ ইস্যুতে গঠিত যুগ্ম সংসদীয় কমিটি প্রধান জগদম্বিকা পাল। বর্তমান পরিস্থিতিকে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সঙ্গে তুলনা করেন বিজেপি সাংসদ। এরই সঙ্গে এই হিংসার জন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করেন জগদম্বিকা পাল। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত বলে দাবি করেন তিনি। (আরও পড়ুন: 'বিহারের মানুষ চায় না যে রাজ্যটা বাংলা ℱহয়ে যাক', মমতার সরকারকে 'অপমান' মন্ত্রীর?)
আরও পড়ুন: মন্দির✃ের সামনে থেকে ষাঁড় চুরি রুখতে গিয়ে 'খুন' পুলিশের চালক, জখম ২ পুলিশকর্মী
জগদম্বিকা পাল বলেন, 'যদি মুর্শিদাবাদ এবং চব্বিশ পরগনা জ্বলে এবং পুলিশ সেখানে নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থাকে... দোকানপাট লুট হচ্ছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, হিন্দুরা মুর্শিদাবাদ থেকে মালদায় চলে যাচ্ছে। ১৯৪৭ সালেও এমন পরিস্থিতি ছিল - যখন হিন্দুরা পাকিস্তান থেকে বিাড়িত হচ্ছিল। আর এখন, হিন্দুরা তাদের নিজের দেশেই বিতাড়িত হচ্ছে। এটা রাজ্য সরকারের চরম প্রশাসনিক ব্যর্থতা। সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত... যদি একজন বাবা এবং তার ছেলেকে পুলিশ বাহিনীর সামনে উগ্র জনতা নির্মমভাবে হত্যা করে, তাহলে অবশ্যই এর দায় রাজ্য সরকারের, যার নেতৃত্বে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' (আরও পড়ুন: পাক🍬🉐িস্তানকে কাছে পেয়ে ভারতের সাথে 'শত্রুতা' বাংলাদেশের? ঢাকাকে হুঁশিয়ারি দিল্লির)
আরও পড়ুন: টাইমের ১০০ প্রভাশালীর তালিকায় ইউনুস, নেই কোনও ভারতীয়, তবে আছে ভারཧত যোগ
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলেকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি ও টোটো। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি। (আরও পড়ুন: 'বাঙালিඣ হিন্দুদের জন্যে হুমকি মমতা', ওয়াকফ হিংসাꦿর আবহে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের)
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলে লুটপাট চালানো হয়। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় বিধায়ককে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশ♒াপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।