পঞ্চম দিনেও কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানি সেনার গুলি অব্যাহত রইল। সীমান্তের ওপার থেকে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে কুপওয়ারা, বারামুলা, আখনুর সেক্টরে চলল গুলি। তার মোক্ষম জবাব এদিনও দিয়েছে ভারত। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হানার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে আরও অবনতির পর থেকেই সীমান্তে এই চাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে। এদিকে, এরই মাঝে জম্মু ও কাশ্মীরে নেমেছে পর্যটকদের ঢল।
জম্মু ও কাশ্মীরের ভদেরওয়াহতে দেখা যাচ্ছে পর্যটকদের ভিড়। এলাকায় বেড়াতে আসা অনেকেই পহেলগাঁও কাণ্ডের নিন্দা করছেন। উপত্যকায় পর্যটকদের আনাগোনার মাঝেই পাহাড়ঘেরা এলাকায় অনেকেই ভারতের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। অনেকের মুখেই ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান। এরই মাঝে এক পর্যটক বললেন,' পহেলগাঁওতে কিছুদিন আগে পাকিস্তান যা করেছে তা লজ্জাজনক। আমাদের সরকার নিশ্চয়ই যোগ্য জবাব দেবে। আর ওই হামলা করা হয়েছে যাতে পর্যটকের সংখ্যা কমে যায়। সেটা হবে না কারণ কাশ্মীর আমাদের। এটা আমাদেরই থাকবে। এটা আমাদের মাতৃভূমি। আমরা কাশ্মীরে আসব। আমরা নিরাপদ বোধ করছি। কিছু ভয়ের নেই, ভারতীয় সেনা এখানে আছে। এখানের মানুষ ভালো। এখানে কোনও সমস্যা নেই।'
( ‘হয় জল বইবে, নয় রক্ত’, সিন্ধু চুক্তি নিয়ে দিল্লি পদক্ষেপ করতেই পাকিস্তানের বিলাওয়ালের হুঁশিয়ারি)
( সন্ত্রাস নিয়ে ‘পাক মন্ত্রী আসিফের স্বীকারোক্তি…’, UNএ ইসলামাবাদকে ধুয়ে দিল দিল্লি!)
( পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হাশিম মুসা পাক সেনার প্রাক্তন প্যারা কমান্ডার? বিস্ফোরক দাবি রিপোর্টে)
(কানাডার ভোটে প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে কারা? নির্বাচনী আবহে ট্রাম্প দিয়ে রাখলেন শুল্ক- অফার!)
এদিকে, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল রাতে কাশ্মীরের সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানের দিক থেকে সেদেশের সেনার গুলি ফের ধেয়ে আসে। ফের একবার বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তানের চেনা গুলি চালনার ছবি দেখা গিয়েছে সীমান্তে। পাল্টা তার মোক্ষম জবাব এদিনও দিয়েছে ভারত। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দুপুরে কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন স্থানীয় কাশ্মীরিও রয়েছেন। গোটা কাশ্মীরে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পর্যটনের উপরে কাশ্মীরের একটা বড় অংশের জীবিকা নির্বাহ নির্ভর করে রয়েছে। সেই পর্যটন ঘিরে এই হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে কাশ্মীর। ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।