🔯 এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা হুমকির প্রতিরোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের বাণিজ্য যুদ্ধ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। চিনের উপর ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা মার্কিন চড়া শুল্ক মোকাবিলায় পাল্টা দিয়েছে বেজিংও। মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের পরিমাণ ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে করেছে চিন। যুযুধান দুই দেশের মধ্যেই শুল্ক যুদ্ধের আবহে মুখ খুললেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ꦺচিন সফরে গিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ। শুক্রবার বেজিংয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে শি জিনপিং বলেন, 'চিন এবং ইউরোপের উচিত তাদের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করা। ভয় না পেয়ে যৌথভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা গুন্ডামির প্রতিরোধ করা।’ এরপর চিনা প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ‘বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। এই পথে হাঁটার অর্থ বিশ্বের বাকিদের থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া।’
ꦦঅন্যদিকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক বিশ্ব বাণিজ্যের পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনার কারণে বেজিং ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়। চিনের সঙ্গে স্পেন এবং ইউরোপ উভয়েরই উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা তাদের সংশোধনের জন্য কাজ করতে হবে। এই নিয়ে গত দু’বছর তিন বার চিন সফরে গেলেন স্যাঞ্চেজ। পরে এক বিবৃতিতে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, 'চিন এই যুদ্ধ লড়তে চায় না। কিন্তু আমরা ভয় পাই না।'
ꦕঅন্যদিকে শুক্রবার চিনের অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, চিনের উপর অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ শুল্ক আরোপের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক বাণিজ্য নিয়ম, মৌলিক অর্থনৈতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এটি সম্পূর্ণ একতরফা হুমকি এবং বলপ্রয়োগ। যদি যুক্তরাষ্ট্র চিনের স্বার্থের উপর আঘাত করে, তাহলে বেজিং দৃঢ়ভাবে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং শেষপর্যন্ত লড়াই করবে ।যদি যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ অব্যাহত রাখে, তাহলে বেজিং তা উপেক্ষা করবে।
ꦺপ্রসঙ্গত, বুধবারেই পাল্টা শুল্ক নীতি কার্যকর হওয়ার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। চিন ছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের পাল্টা শুল্কে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, চিনা পণ্যের উপর এবার ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক কার্যকর হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার জানা যায়, মার্কিন বাজারে চিনা পণ্যের উপর মোট শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৫ শতাংশ নয়, ১৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। তারপর থেকেই ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানাচ্ছে চিন। ভারতকেও পাশে চাইছে তারা।