ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কবে ২০২৫-২৬ মরশুমের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা꧙ করবে, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে। কখনও শোনা যাচ্ছে, এই সপ্তাহের শেষে কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করা হবে, আবার কখনও শোনা হচ্ছে নাকি অক্টোবরে বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করা হবে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের দুই তারকা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বড় লাভবান হতে চলেছেন
এদিকে সূত্রের দাবি, ভারতের তারকা স্পিনার কুলদীপ যাদব এবং অক্ষর প্যাটেলকে গ্রেড বি থেকে গ্রেড এ-তে উন্নীত করা হতে পারে। এই জুটি বর্তমানে আইপিএল ২০২৫-এ দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ারও ২০২৪-২৫ মরশুমের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, তাঁর ফের চুক্তিতে ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের আরও দাবি, সিনিয়র খেলোয়াড় রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং জসপ্রীত বুমরাহের ‘এ+’ গ্রেডে তাঁদের স্থান ধরে রাখার সম্ভা🃏বনা রয়েছে।
কুলদীপ এবং অক্ষর ভারতের সাম্প্রতিক দু'টি আইসিসি শিরোপা জিতেছে- ২০২৪ সালﷺের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এবং এই দুই টুর্নামেন্টে তাঁরা শীর্ষস্থানীয় পারফর্মারদের মধ্যে ছিলেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, কুলদীপ ১৩.৯০ গড়ে এবং ৬.৯৫ ইকোনমি রেটে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন, যার সেরা পরিসংখ্যান ছিল ৩/১৯। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে, তিনি ৩১.৮৫ গড়ে♒ ৭ উইকেট নেন, ইকোনমি রেট ৪.৭৯ এবং সেরা পর🍰িসংখ্যান ৩/৪০।
ভারতের মূল স্পিন-বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল উভয় টুর্নামেন্টেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে🐬ন। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্꧙বকাপে আটটি ম্যাচের পাঁচ ইনিংসে তিনি ২৩.০০ গড়ে এবং ১৩৯.৩৯ স্ট্রাইক রেটে ৯২ রান করেছিলেন। তিনি ১৯.২২ গড়ে এবং ৭.৮৬ ইকোনমি রেটে ৯টি উইকেটও নিয়েছিলেন। তাঁর সেরা পরিসংখ্যান ৩/২৩। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে তাঁর ৪৭ রানের পাল্টা আক্রমণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল।
আইসিসি সিটি ২০২৫-এ, পাঁচ নম্বরে ব্যাট করে অক্ষর পাঁচ ইনিংসে ২৭.২৫ গড়ে মূল্যবান ১০৯ রান করেছিলেন, দুবাইয়ের পরীক্ষামূলক পরিস্থিতিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ৭৪। তিনি ভারতের সবচেয়ে কৃপণ স্পিনার হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, প্রতি ওভারে মাত্র ৪.৩৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে। তাঁর বোল💃িং গড়ও ছি𝄹ল ৩৯.২০। অক্ষরকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক হিসেবেও আপাতত সফল। ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই জিতেছে দিল্লি।
শ্রেয়স আইয়ারেরও ভাগ্য খুলতে চলেছে
গত বছর কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া সত্ত্বেও শ্রেয়স আইয়ার কিছু স্মরণীয় পারফর্ম🎀্যান্স করেছেন। অধিনায়ক হিসেবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল জিতেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে রঞ্জি ট্রফি, ইরানি কাপ এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি জিতেছেন, যার মধ্যে এসএমএটি জয়টি এসেছে অধিনায়ক হিসেবে। এই বছর ইংল্যান্ড সিরিজের সময় ওয়ানডে দলে ফিরে আসার আগে এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয়ে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই অসাধারণ রান করেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পাঁচ ম্যাচে ২৪৩ রান সহ দু'টি অর্ধশতরান হাঁকিয়ে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে ওঠেন। এই বছর আটটি ওয়ানডে-তে তিনি ৫৩.০০ গড়ে ৪২৪ রান করেছেন, যার মধ্যে চারটি অর্ধশতরান রয়েছে। পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক হিসেবে শুরুটাও তাঁর খারাপ হয়নি। এখনও পর্যন্ত ছয়টি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছে তাঁর দল এবং শ্রেয়স নিজে ছ'ম্যাচে তিনটি হাফসেঞ𝔉্চুরি সহ মোট ২৫০ রান করে ফেলেছেন।
রোহিত এবং বিরাটের কী অবস্থা হতে চলেছে?
রোহিত এবং বিরাট, যাঁরা দু'জনেই টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন, তাঁদের এ+ ক্যাটাগরিতেই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যাঁরা সম্প্রতি ভারতের সাদা বলের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০২৪ সাꦿলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত আট ম্যাচে ২৫৭ রান করেছিলেন, যার মধ্যে তিনটি অর্ধশতরান ছিল, অন্যদিকে হতাশাজনক টুর্নামেন্টের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে বিরাট ৭৬ রান করেছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়েও, বিরাট পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। পাঁচটি ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ൩এবং একটি হাফসেঞ্চুরি সহ ২১৮ রান করেছিলেন। টুর্নামেন্টে রোহিত পাঁচ ইনিংসে ১৮০ রান করেছিলেন, যার মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে ৭৬ রানের ইনিংস ছিলᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ।
বুমরাহ, যিনি শেষ বার ভারতের হয়ে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির সিডনি টেস্টে খেলেছিলেন এবং চলতি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সেট আপে ফিরে এসেছেন, তিনি ভারতের𓃲 জন্য সর্ব-ফরম্যাটেই বড় ভ༺রসা। তাঁকেও এ+ ক্যাটাগরিতেই রাখা হবে।