মোহনবাগানের শক্তির বড় উৎস এখন আপুইয়া রালতে এবং মনবীর সিং। এই দুই তারকার হাতেই রয়েছে ম্যাচের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার অস্ত্র। দু'জনেই ক্ষিপ্র, আগ্রাসী, বুদ্ধি ধরে খেলতে জানেন, আর জয়ের জন্য সব সময়ে মরিয়া হয়ে থাকেন। জাতীয় দಌলে থাকার সময়ে অনুশীলনেই চোট পেয়েছিলেন মনবীর। তার পর থেকে চোট সমস্যায় তাঁকে ভুগতে হয়েছে। আর আপুইয়াও মাঝেমধ্যে চোট নিয়ে জেরবার হয়েছেন। তবে ফাইনালে কিন্তু দুই তারকাই মোলিনার অন্যতম সেরা দুই অস্ত্র।
রাইট উইং ধরে মনবীরের দৌড় সামলাতে হাঁপ ধরে যায় বিপক্ষের
মনবীরের প্রধান কাজ আক্রমণ তৈরি করা। এবং আপুইয়ার আসল কাজ প্রতিপক্ষের আক্রমণকে মাঝমাঠেই আটকে দেওয়া। রাইট উইং ধরে চোখের পলকে বল নিয়ে উঠতে ওস্তাদ মনবীর। রাইট উইং ধরে মনবীরের দৌড় সামলাতে গিয়ে, হাঁপ ধরে যায় বিপক্ষের। তিনি মাঠে থাকা মানেই বাগানের আক্রমণ ক্ষুরধার হয়ে যায়। সেই মনꦛবীর রীতিমতো তেতে রয়েছেন ফাইনাল ম্যাচের আগে। আরও কোনও দ্বিতীয় ভাবনা নয়, ‘জিততেইহবে’- এই মনোভাব নিয়ে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে দিতে চান পঞ্জাব তনয়।
২০২৪-২৫ মরশুমে আইএসএলের পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যাবে, ২৪ ম্যাচ খেলে মনবীর মাত্র পাঁচটি গোল করেছেন, চারটি গোল করিয়েছেন। এই পরিসংখ্যানটি মোটেও উত্তেজনা ছড়ানোর মতো কিছু নয়। কিন্তু তাঁর আসল কাজটা যে, গোল করা নয়, বিপক্ষের রক্ষণকে ঘেঁটে দেওয়াটাই তাঁর আসল উদ্দেশ্য থাকে🌱। যুবভারতীর মাঠে সেই কাজটা 🌺তিনি আরও বেশি ভালো করে করতে পারেন। কারণ যুবভারতীর মাঠ অনেক বড়। উইং দিয়ে বারবার আক্রমণ হলে, ডিফেন্স ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য। স্বাভাবিক ভাবেই বিপক্ষ দলের পরিকল্পনা এতে ঘাটবে। কারণ সেক্ষেত্রে রক্ষণ জমাট করা কঠিন হয়ে উঠবে। আর সেই দায়িত্বটা বেশ ভালো ভাবে সামলান মনবীর। অন্যদিকে গোল করে যান অন্য তারকারা।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো- জোফ্রার ১৪৭.৭কিমি গতির বল বুঝলেনই না শুভমন, উড🌸়ল স্টাম্প, গিলের বেসিক ভুলে খেপলেন শাস্ত্রী
আপুইয়াকে দিয়ে দূরপাল্লার শট প্র্যাকটিস করান মোলিনা
এদিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠের বড় ভরসা হয়ে উঠেছেন আপুইয়া। খেলেন ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসেবেই। তিনি ২১টি ম্যাচে✨ গড়ে ৪৭টি করে পাস করেছেন, যার মধ্যে সফল পাসের হার ৮৩%। ১৪টি গোলের সুযোগও তৈরি করেছেন তিনি। ১৭টি ক্লিয়ারেন্স, ৩১টি ইন্টারসেপশন, ১০৬টি ডুয়েলজয় ও ১৩১বার বলের পুনর্দখলের কথা লেখা হয়েছে তাঁর খতিয়ান🐓ে।
লিগে তৃতীয় সর্বোচ্চ (৪৮টি) সফল ট্যাকলের অধিকারী তিনি। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের হয়ে তিনি একমাত্র গোলটি করেছিলꦑেন সোমবার (৭ এপ্রিল) সেমিফাইনালে। আর তাঁর এই গোলই দলকে ফাইনালে পৌঁছে দেয়। কিন্তু গোল করা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবেন না আপুইয়া। তাঁর সাফ কথা, ‘আম🌊ার কাজ তো গোল করা নয়।’
তবে অনুশীলনে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা কিন্তু আপুইয়াকে দিয়ে দূরপাল্লার শট মারার অভ্যেস করিয়ে থাকেন। যাতে দূর থেকে কোনও গোল করার দরকার হলে, সেই দায়িত্বটা আপুইয়া নিতে পারেন। তবে আপুইয়া গোল পাচ্ছেন না বলে যে নিন্দুকেরা বাঁকা কথা বলছিলেন, এবার আইএসএলের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে সেই গোল করে দলকে জিতিয়ে সবাইকে চুপ করিয়ে দিয়েছেন আইজলের ২৪ বছরের তারকা।꧑ তবে তিনি নিন্দুকদের এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘আমার আসল কাজ ক্লিনশিট রাখতে সাহায্য করা, গোল ক𝔉রা নয়।’ যাইহোক ফাইনাল ম্যাচে দলের মাঝমাঠে কোচ হোসে মোলিনার প্রধান ভরসা মুম্বই সিটি এফসি-র এই প্রাক্তন তারকা। কোচের ভরসার মান দিয়ে তিনিও হয়ে উঠতে চান ফাইনালের ‘সুপার হিরো’।