🌄 চাকরি বাতিলের রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছিল, পুরো প্রক্রিয়ায় কারচুপি হয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে, শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করেছিল যোগ্য অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব নয়। তারপরেই প্রায় ২৬,০০০ চাকরি অর্থাৎ এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এবার অযোগ্যদের তকমা পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীরা দাবি করলেন তাঁরাও যোগ্য। তাঁদের দাবি, চাকরিহারাদের দুটি শ্রেণিতে ভাগ করে রাজনীতি করা হচ্ছে। চক্রান্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 🅘কসবায় পুলিশের লাঠি-লাথির প্রতিবাদ, একটু পরেই মহামিছিল চাকরিহারা শিক্ষকদের!
﷽বুধবার মেদিনীপুর শহরে পশ্চিম মেদিনীপুর প্রেস ক্লাবে অযোগ্য তকমা পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের তরফে ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন টিচিং ফোরাম সংবাদ সম্মেলন করেন। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরাও সঠিকভাবে প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত টাকা দিয়ে বা দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। তাঁদের আরও বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথক করেনি। চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশাপাশি চাকরিহারা গ্রুপ ডি কর্মীরাও একই দাবি করেছেন।
🅺তাঁদের অভিযোগ, কিছু সংবাদ মাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া এবং রাজনৈতিক নেতারা চাকরিহারাদের যোগ্য ও অযোগ্য এই দুটি ভাগে ভাগ করছে। তা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। তাঁদের আরও অভিযোগ, এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর একাধিক শিক্ষক সংগঠনের তরফেও যোগ্য অযোগ্য আলাদা করা হয়েছে। তানিয়েও ধিক্কার জানিয়েছে ফোরাম। এই অবস্থায় তাঁরাও যাতে চাকরিতে পুনর্বাহাল থাকতে পারেন সে বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।
🍰উল্লেখ্য, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চাকরি হারাদের নিয়ে সভা করেছিলেন। সেই সভা থেকে তিনি চাকরিহারাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন কোনওভাবে চাকরি যেতে দেবেন না। এপ্রসঙ্গে সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে বিঁধে তাদের প্রশ্ন, এসএসসি অফিসকে সিজ করে সিবিআই তদন্ত করেছিল। তারপরেও তারা কেন কিছু করতে পারল না? তাঁদের স্পষ্ট দাবি, যোগ্য অযোগ্যদের আলাদা করতে পারেনি সুপ্রিম কোর্টও। ফলে প্রমাণিত না হয়ে তাঁদের অযোগ্য বলে বিবেচনা করে সম্মানহানি করা হচ্ছে। প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকেও আক্রমণ করেন তাঁরা।