তপহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিতে তিন সামরিক বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান-সহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী, তাতে তিনি স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে যখন খুশি, যেখানে খুশি পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে পারে ভারতীয় সেনা, ভারতীয় বায়ুসেনা ও ভারতীয় নৌসেনা। কীভাবে হামলা চালানো হবে, কীভাবে পরিকল্পনা করা হবে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও বাহিনীর হাত-পা বেঁধে রাখা হবে না। যেমন মনে হবে, সেরকমভাবেই ‘অ্যাকশন’ নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যেদিন সেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে, তার ঠিক এক সপ্তাহ আগের মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পর্যটক ছিলেন। ওই জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিট্যান্স ফ্রন্ট আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তারপর থেকেই কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ করেছে ভারত। রদ করে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। নেওয়া হয়েছে আরও একাধিক ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে জঙ্গি-নিধন অভিযান চালানো হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলায় যে জঙ্গিরা জড়িত আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে, তাদের এখন ধরা না গেলেও সন্ত্রাসবাদীদের নিধন অভিযান চালানো হচ্ছে। খুঁজে-খুঁজে বের করা হচ্ছে জঙ্গিদের।
তবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ারস্ট্রাইকের ঘটনার পরে সীমান্তের ওপারে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে এবারও ভারত কোনও সামরিক অভিযান চালাবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মত, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কোনও ‘স্ট্রাইক’ চালাতে পারে বলে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছে পাকিস্তান। তাই কোনও মন্ত্রী বলছেন যে ভারতের দিকে ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র তাক করা আছে। কেউ আবার কার্যত নিশ্চিত হয়ে বলছেন যে ভারতের সামরিক অভিযান অবশ্যম্ভাবী।
সেই আবহেই মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী যে বার্তা দিলেন, তাতে অনেকের ঘুম উড়ে যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
(বিস্তারিত পরে আসছে)